মহালছড়ি ডাক বাংলোর বেহাল দশা ; রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে ঝোপ জঙ্গলে ভরে আছে!

মোঃ কাউসারুল ইসলাম।। মহালছড়ি।।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মহালছড়ি উপজেলার যথাযথ নজরদারী ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ডাক বাংলোটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘ দিন ধরে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভবনের চার পাশে  ঝোপ-জঙ্গল, পোকা-মাকড়ে ভরে আছে ভবনটি। 

ব্যবহারের অনুপযোগী এই ভবনটি দ্রুত ব্যবহার উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন মহালছড়িবাসী। উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ডাক বাংলো ভবনের বাহিরে প্রাচীর রয়েছে। আর এই প্রচীরের ভিতরে বিরাজ করছে ঝোপ-জঙ্গল, দুর্গন্ধ ময়লা- আবর্জনা ও পোকামাকড়ের আস্থানা। দুই তলা এ ভবনটির নীচ তলার কয়েকটি রুমের জানালার কাচ ভেঙে গেছে।


হঠাৎ ভবনটি দেখে যে কারও মনে হবে এটি ডাকবাংলো নয় যেন ভূতের বাড়ি। সংস্কার ও পরিচর্যার অভাবে দেয়াল ও প্রাচীরগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বোঝার কোন উপায় নেই যে এটি একটি সরকারি ভবন। তবে ডাকবাংলোটির দেখা শোনার জন্য পুর্বে একব্যাক্তি দায়িত্বে থাকলেও এখন আর তার দেখা মেলেনা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার অনেক কর্মকর্তা বলেন, বাহিরের যে অবস্থা ভেতরে তার চেয়ে কয়েকগুণ খারাপ। রাত হলেই কুকুর, বিষাক্ত সাপ আর বেড়ালের ভয়ানক ডাক শোনা যায়। নষ্ট হয়ে গেছে ভবনের ভেতরে থাকা দরজার জানালা আসবাবপত্র ও ফার্নিচার। ধুলো আর ময়লা ছাড়া তিল ধরনের জায়গা নেই ভবনের ভেতরে ।

সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে দ্রুত ডাকবাংলোটি মেরামত ও ব্যবহারের উপযোগী করে দেওয়ার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসীরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. কে লিখেছে এই আর্টিকেল? আপনাকে বলি, রাতের বেলায় ওইখানে কোন কুকুর যায় না। কিছু ছেলেপেলে ওইখানে গিয়ে ইয়াবা খায়, অনৈতিক কাজ করে।

    উত্তরমুছুন

সম্প্রতি

গুইমারায় সামাজিক সংহতি ও দ্বন্দ ব্যবস্হাপনা বিষয়ক কর্মশালা

মোঃ আবদুল আলী, গুইমারা প্রতিনিধিঃ খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় সামজিক সংহতি ও দ্বন্দ ব্যবস্হাপনা বিষয়কে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।...